হায়েনা এক্সপ্রেস সমাচার পার্ট -১

adminsr
3 Min Read
হায়েনা এক্সপ্রেস ও মানবসভ্যতা। এ মানবসভ্যতার আত্মহত্যার এক গল্প, ধৈর্য থাকলে পড়তে পারেন নতুবা এড়িয়ে যেতে পারেন। প্রথমেই আসি ব্যান্ডের কথায়, ২০১৮ সালে গঠিত হয় সোনার বাংলা সার্কাস নামের এই ব্যান্ড। এই ব্যান্ডটি মূলত সাইকেডেলিক রক টাইপের, সাইকেডেলিক রক মূলত যে মিউজিক মনের মাঝে ঘোরের সৃষ্টি করে, আপনাকে নিয়ে যায় এক অন্য জগতে। ২০২০ সালে রিলিজ হয় তাদের প্রথম এলবাম ‘হায়েনা এক্সপ্রেস’। এই এলবাম একটি কন্সেপচুয়াল এলবাম(প্রতিটা গান একে-অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, পুরো এলবাম একটি গল্পকে রিপ্রেজেন্ট করে)। এলবামে মোট ৯ টি গান রয়েছে এবং মজার বিষয় হলো প্রত্যেকটি গান ধারাবাহিকভাবে আপনাকে শুনতে হবে, যদি আপনি এলবামের রহস্যটা উন্মোচন করতে চান। তাদের প্রথম এলবাম “হায়না এক্সপ্রেস”-এ মানবসভ্যতার এক চরিত্র কে তুলে ধরা হয়েছে এবং পুরো এলবামের গল্পের মূল থিম হলো মানবসভ্যতার আত্মহত্যা। ‘হায়েনা এক্সপ্রেস’ এলবামের ব্যাখা করার মতো দুঃসাহস আমার নেই। আমি শুধুমাত্র লিরিক্যালি কিছু প্লট নিজের অবজারভেশন থেকে ব্যাখা করার চেষ্টা করবো মাত্র ।আপনারা আপনাদের মতো মিলিয়ে নিয়েন।
১(‘ হায়েনা এক্সপ্রেস ‘) সোনার বাংলা সার্কাসের প্রথম গান তাদের এলবামের নামে ‘হায়েনা এক্সপ্রেস’। গানের টাইটেল থেকে একটা কথা স্পষ্ট বুঝা যায় হায়েনা মানে প্রাণীজগতের অন্যতম হিংস্র এক প্রাণী এবং এক্সপ্রেস দিয়ে কোনো এক যানকে বুঝাচ্ছে। রূপক অর্থে কোনো এক হিংস্রতম নরকযানের কথা আমরা ধরতে পারি।”গভীর রাতের সরণি ছুটেছে নরক নগরী হায়েনা গাড়িতে তুমি উড়ছে চুল অগ্নিকেশী ডিজেলের ভুলে রক্তে চলে গাড়ি” গানের এই প্রথম কয়েক লাইনে বুঝা যায় যে কেউ একজন মানবসভ্যতার অন্ধকার পৈশাচিক নরক দুনিয়ায় প্রবেশ করছে। যেখানে আগুন আর রক্তের খেলায় মেতে উঠেছে সভ্যতা। এই গানের একটি লাইনে আপনারা পাবেন ”পেছন সিটে ইবলিশ খায় পনির’ যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে এই নরকযানে যে মানুষের আগমন ঘটেছে সে এই সভ্যতা নামক নরকের নির্মাতা। “রক্তের তোড়ে সূর্যের দিকে মর্গের দরজা খুলে দেয় নরকধাত্রী” গানের শেষ এই লাইনে আমরা বুঝতে পারি মানবসভ্যতার ঘোর অন্ধকার পৈশাচিক নরক দুনিয়ায় দরজা খুলে তার প্রবেশ ঘটেছে।
২(‘ মৃত্যু উৎপাদন কারখানা ‘) নরকে প্রবেশ করেই দেখা যায় তার প্রিয় খাবারের উৎস ‘মৃত্যু উৎপাদন কারখানা’ যা তার বেঁচে থাকার একমাত্র মাধ্যম। যেদিন থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান মাংশল প্রাণী কারখানা সৃষ্টি করেছে কৃত্রিম সভ্যতা তৈরি করতে, সেদিন থেকে মানুষ তার সহজাত হিংস্রতার চেয়ে আরো হিংস্রতম হয়ে উঠেছে। নিজেরাই নিজেদের মেরুদণ্ড হাতে নিয়ে পেরেক ঠুকে ঠুকে একে অপরের ধব্বংস লীলায় মেতে উঠেছে। গানের লিরিকেই আমরা তার প্রতিফলন পাই, “আমরা মৃত্যু উৎপাদন করি কথায় ইচ্ছায়, সাধনায় আর কারখানায় আমরা মৃত্যু উৎপাদন করি মহামারী শিশুদের প্রিয় খেলনা “

চলবে………

Contents
হায়েনা এক্সপ্রেস ও মানবসভ্যতা। এ মানবসভ্যতার আত্মহত্যার এক গল্প, ধৈর্য থাকলে পড়তে পারেন নতুবা এড়িয়ে যেতে পারেন। প্রথমেই আসি ব্যান্ডের কথায়, ২০১৮ সালে গঠিত হয় সোনার বাংলা সার্কাস নামের এই ব্যান্ড। এই ব্যান্ডটি মূলত সাইকেডেলিক রক টাইপের, সাইকেডেলিক রক মূলত যে মিউজিক মনের মাঝে ঘোরের সৃষ্টি করে, আপনাকে নিয়ে যায় এক অন্য জগতে। ২০২০ সালে রিলিজ হয় তাদের প্রথম এলবাম ‘হায়েনা এক্সপ্রেস’। এই এলবাম একটি কন্সেপচুয়াল এলবাম(প্রতিটা গান একে-অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, পুরো এলবাম একটি গল্পকে রিপ্রেজেন্ট করে)। এলবামে মোট ৯ টি গান রয়েছে এবং মজার বিষয় হলো প্রত্যেকটি গান ধারাবাহিকভাবে আপনাকে শুনতে হবে, যদি আপনি এলবামের রহস্যটা উন্মোচন করতে চান। তাদের প্রথম এলবাম “হায়না এক্সপ্রেস”-এ মানবসভ্যতার এক চরিত্র কে তুলে ধরা হয়েছে এবং পুরো এলবামের গল্পের মূল থিম হলো মানবসভ্যতার আত্মহত্যা। ‘হায়েনা এক্সপ্রেস’ এলবামের ব্যাখা করার মতো দুঃসাহস আমার নেই। আমি শুধুমাত্র লিরিক্যালি কিছু প্লট নিজের অবজারভেশন থেকে ব্যাখা করার চেষ্টা করবো মাত্র ।আপনারা আপনাদের মতো মিলিয়ে নিয়েন।১(‘ হায়েনা এক্সপ্রেস ‘) সোনার বাংলা সার্কাসের প্রথম গান তাদের এলবামের নামে ‘হায়েনা এক্সপ্রেস’। গানের টাইটেল থেকে একটা কথা স্পষ্ট বুঝা যায় হায়েনা মানে প্রাণীজগতের অন্যতম হিংস্র এক প্রাণী এবং এক্সপ্রেস দিয়ে কোনো এক যানকে বুঝাচ্ছে। রূপক অর্থে কোনো এক হিংস্রতম নরকযানের কথা আমরা ধরতে পারি।”গভীর রাতের সরণি ছুটেছে নরক নগরী হায়েনা গাড়িতে তুমি উড়ছে চুল অগ্নিকেশী ডিজেলের ভুলে রক্তে চলে গাড়ি” গানের এই প্রথম কয়েক লাইনে বুঝা যায় যে কেউ একজন মানবসভ্যতার অন্ধকার পৈশাচিক নরক দুনিয়ায় প্রবেশ করছে। যেখানে আগুন আর রক্তের খেলায় মেতে উঠেছে সভ্যতা। এই গানের একটি লাইনে আপনারা পাবেন ”পেছন সিটে ইবলিশ খায় পনির’ যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে এই নরকযানে যে মানুষের আগমন ঘটেছে সে এই সভ্যতা নামক নরকের নির্মাতা। “রক্তের তোড়ে সূর্যের দিকে মর্গের দরজা খুলে দেয় নরকধাত্রী” গানের শেষ এই লাইনে আমরা বুঝতে পারি মানবসভ্যতার ঘোর অন্ধকার পৈশাচিক নরক দুনিয়ায় দরজা খুলে তার প্রবেশ ঘটেছে।২(‘ মৃত্যু উৎপাদন কারখানা ‘) নরকে প্রবেশ করেই দেখা যায় তার প্রিয় খাবারের উৎস ‘মৃত্যু উৎপাদন কারখানা’ যা তার বেঁচে থাকার একমাত্র মাধ্যম। যেদিন থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান মাংশল প্রাণী কারখানা সৃষ্টি করেছে কৃত্রিম সভ্যতা তৈরি করতে, সেদিন থেকে মানুষ তার সহজাত হিংস্রতার চেয়ে আরো হিংস্রতম হয়ে উঠেছে। নিজেরাই নিজেদের মেরুদণ্ড হাতে নিয়ে পেরেক ঠুকে ঠুকে একে অপরের ধব্বংস লীলায় মেতে উঠেছে। গানের লিরিকেই আমরা তার প্রতিফলন পাই, “আমরা মৃত্যু উৎপাদন করি কথায় ইচ্ছায়, সাধনায় আর কারখানায় আমরা মৃত্যু উৎপাদন করি মহামারী শিশুদের প্রিয় খেলনা “

Share this Article
Leave a comment