মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলের জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে?

adminsr
2 Min Read
১.অন্ততঃ ৪ বার একটা জিনিস পড়তে হবে (বেশিও লাগতে পারে)। প্রথমবার পড়ার সময় মুখস্থ করার চেষ্টা করবেনা। comprehension এর জন্য একবার গড়গড় করে পড়তে লাগবে। ৪ নম্বর বার দেখবে বুঝতে পারছ।
২.অ্যাটেনশন স্প‍্যান অনুযায়ী পড়ার সময় ভাগ করবে। যদি ১৫ মিনিটের বেশি টানা না পড়তে পারো, তাহলে তারপর ২ মিনিটের ব্রেক নেবে। আস্তে আস্তে সময় বাড়িয়ে ১ ঘন্টা আর ৫-১০ মিনিট ব্রেক করবে। অনেকে আরো বাড়াতে পারবে, কিন্তু এই লেভেলে থাকলে অসুবিধা নেই।
৩.পড়ার আগে পড়ার বইকে ভাগ করে নিয়ে টার্গেট নির্দিষ্ট করো। ধরো ১২টা চ্যাপ্টার, তুমি ৭দিনে পড়তে চাও। তাহলে ৩-৩-৩-৩ করে ৪ দিনে ভাগ করবে, ২ দিন রিভিজন, আর ১ দিন অতিরিক্ত। এই অতিরিক্ত দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ টার্গেট দেরি হবেই হবে। তখন ওইদিনই শেষ করতে হবে। এই অতিরিক্ত দিন রেখে পড়া প্ল্যান করে আমার পরীক্ষায় বরাবর চাপ কম থেকেছে।
৪.সময় নিয়ে প্র্যাক্টিস মক পরীক্ষা দাও। নাহলে পরীক্ষার দিন প্যানিক করবে। হাতে লেখা হোক, অনলাইন হোক, সেভাবেই অভ্যাস করবে, অন্ততঃ ১০টা।
৫.ফোন, ট্যাব ইত্যাদি দূরে রেখে বসবে। ব্রেকে হাত দেবে, তারপর আবার রেখে দেবে।
৬.পড়ার বিষয়টায় একটা কোনো ভালোবাসার পয়েন্ট খুঁজবে। যেমন কোনো পছন্দসই অঙ্ক, কোনো প্রিয় ঐতিহাসিক সময়, কোনো পছন্দের বাংলা বা ইংলিশ গল্প/কবিতা। সব সময় সম্ভব না, তবে পেলে পড়ায় সুবিধা হবে।
৭.গ্রূপ করে নোট তৈরি, রিভিজন করলে খুব সুবিধা হয়, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সবার স্পিড ও comprehension লেভেল কাছাকাছি হয়, নাহলে একজন এগিয়ে বা পিছিয়ে পড়বে। সবার সাথে পড়া শেষ হলে বাড়ি গিয়ে একা একা একবার চোখ বোলানো দরকার।
৮.ওরাল ভাইভা দেওয়ার আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলা অভ্যাস করবে। নিজের ম্যানারিজম দেখবে, কিছু চোখে লাগলে বা কানে লাগলে ঠিক করে নেবে। পরিষ্কার উচ্চারণ ও কনফিডেন্ট গলায় কথা বলতে হবে। এতে কিছু ভুল বলাও পরীক্ষকরা মেনে নেন।
৯.পরিষ্কার হাতের লেখা, নিয়মমতো জায়গা ছাড়া ইত্যাদি খাতা লেখার নিয়ম মেনে চলবে।
তথ্য সূত্র – ক্রোরা

Share this Article
Leave a comment