শিরোনামটা দেখে হয়তো অনেকই অবাক হচ্ছেন? এটা বহুবছর আগে কোনো এক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো। অনলাইন থেকে ছবি টি পেয়ে সেটা থেকে কিছুটা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে ‘ইকবাল মাহমুদ’।
বছরটা ছিলো মূলত বিভিন্ন ব্যান্ডেট। শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড মাইলস,রেনেসাঁ, এলআরবি,ফিডব্যাক,চাইম ও সোলসের দাপটে আধুনিক গানের শিল্পীরা রীতিমতো অসহায় ছিলেন বলা যায়। আধুনিক গানে প্রতিষ্ঠান কন্ঠ তপন চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু,শুভ্র দেব,বেবী নাজনীন, শাকিলা জাফর,ডলি সায়ন্তনী,কুমার বিশ্বজিৎ, শেখ ইশতিয়াক প্রমুখের ক্যাসেট বেরুলেও দু’একজন ছাড়া বাকী সবাই আলোচনার বাহিরে ছিলেন। তপন চৌধুরী, বেবী নাজনীন, কুমার বিশ্বজিৎ ও শুভ্রদেব এদের একক ক্যাসেটের চাহিদা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি এমনটি দাবি করবেন না কেউ৷ একক শিল্পীদের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম দিলরুবা খান। পাগল মন গানটি গাওয়ার পর থেকে তাকে ঘিরে রীতিমতো ক্রেজ গড়ে উঠে। একচেটিয়া প্রাধান্য ছিলো বিভিন্ন ব্যান্ডের। আধুনিক গানের শিল্পীরা শ্রোতাদের আগের মতো আকর্ষণ করতে পারছে না। ক্রমেই তরুণ ছেলে-মেয়েরা ব্যান্ড নির্ভর হয়ে পড়ছে। যদিও শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ব্যান্ড ছাড়া বাকি কারো গান শ্রবণযোগ্য নয়।
সঙ্গীতে অবদানের জন্য ২১ জনকে সম্মানিত করেছে সোলস। ব্যান্ডের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গীত জগতে নবীন এবং প্রবীণদের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। দেশীয় সঙ্গীত জগতে এটি ছিলো ‘৯৩ এর সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। সঙ্গীতের নবীন এবং প্রবীণ সবাই এসেছিলেন এই অনুষ্ঠানে। বহুদিন পর কণ্ঠশিল্পীদের একত্রে করতে পেরেছিলো সোলস। পুরষ্কৃত করা হয়েছে মরহুম আব্দুল আলীম, ফিরোজা বেগম,ফেরদৌসী রহমান, নিলুফার ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, আব্দুর রহমান বয়াতী,সৈয়দ আব্দুল হাদী,আজম খান, রবীন্দ্রনাথ রায়,সুবীর নন্দী, শেফালী ঘোষ,অজিত রায়,আলাউদ্দিন আলী, নকীব খান, শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব, খন্দকার নূরুল আলম,হেনা ইসলাম,শহীদ মাহমুদ জঙ্গী,মাসুদ করিম ও সত্য সাহা। সোলস এর এই পুরষ্কার ও সংবর্ধনায় ভালোবাসা ও আবেগের ঘাটতি ছিলো না।
বর্তমান সময়েও রুচিশীল তরুণদের পছন্দের তালিকায় ব্যান্ড সংগীত রয়েছে সবার উপরে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ব্যান্ড সংগীত বেঁচে থাকবে এই তরুণদের মাঝে।