রেকর্ড লেভেল কি ও তার কাজ?একটি রেকর্ড লেবেল বা রেকর্ড কোম্পানি হলো এমন ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক যা রেকর্ড সঙ্গীত এবং মিউজিক ভিডিওর বাজারজাতকরণের সাথে যুক্ত থাকে। মাঝে মাঝে রেকর্ড লেবেল একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও কাজ করে। যার প্রধান কাজ ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক নিয়ন্ত্রণ করা, প্রোডাকশনকে গতিশীল রাখা, উৎপাদন, পরিবেশনা, বাজারজাতকরণ, সঙ্গীত এবং মিউজিক ভিডিওর কপিরাইট জারি করা। এছাড়া মেধা অন্বেষণ এবং নতুন প্রতিভার বিকাশের জন্য সংগীতশিল্পী ও তাদের ম্যানেজারের সাথে চুক্তি বজায় রাখাও রেকর্ড লেবেলের দায়িত্ব। রেকর্ড লেবেল শব্দটি এসেছে ভিনাইল রেকর্ডের মধ্যে থাকা লেবেল থেকে যেখানে গানের তথ্যের সাথে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা থাকে।‘ক্রিকেট’ যেমন বাংলাদেশের জন্য গর্বের ‘ব্যান্ড মিউজিক’ ও বাংলাদেশের জন্য গর্বের। বিদেশি সংগীত অঙ্গণে বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিকের দারুণ সুনাম রয়েছে। আমাদের দেশের ব্যান্ড যেমন আর্টসেল, ওয়ারফেজ, চিরকুট, শিরোনামহীন, ট্রেনরেক সহ আরো অনেক ব্যান্ড আন্তর্জাতিক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।আমাদের দেশের ব্যান্ড গুলো তাদের সংগীত বাজারজাত সহ নানা কারণে রেকর্ড লেভেলের সাথে চুক্তিতে কাজ করে। যার আসল শর্ত হলো ব্যান্ড যেনো লাভবান হয়।বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পীরা সবসময় অবহেলিত। সংগীতশিল্পীদের অবহেলা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেকেই শখ হিসেবেও গান করেন না, পেশা হিসেবে নেয়ার কথা আর নাই বলি।সম্প্রতি সময়ে রেকর্ড লেভেল কোম্পানি গুলো ব্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে প্রতারণার মাধ্যমে। অনেক ব্যান্ড তাদের প্রতারণার স্বীকার হয়েছে । যার সুনির্দিষ্ট প্রমান রয়েছে। এক সূত্র থেকে জানা যায় ব্যান্ড হাইওয়ে, ব্যান্ড আপেক্ষিক, ব্যান্ড এডভার্ব সহ অনেক গুলো ব্যান্ড প্রতারণার স্বীকার হয়েছে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সৃষ্টি করা গান রেকর্ড লেভেল কোম্পানি তার নিজস্ব সম্পদের মতো ব্যবহার করছে।গতকাল ব্যান্ড ‘হাইওয়ে’ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছে। ব্যান্ডের বক্তব্য সরাসরি উপস্থাপন করা হলো।হাইওয়ের জন্য গান হলো আমাদের মনোভাব প্রকাশ করার একটি উপায় এবং আমরা কখনোই আমাদের গান থেকে অর্থ উপার্জনের চিন্তা করিনি। যাইহোক, জীবন এখন আমাদের এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে আমাদের হয় আমাদের শখ (গান) বেছে নিতে হবে অথবা উপযুক্ত চাকরি থেকে জীবিকা অর্জন করতে হবে।তবুও, হাইওয়ের প্রতি আপনাদের ভালবাসা এবং প্রশংসা আমাদের গানের মাধ্যমে আমাদের অর্থ উপার্জনের দরজা খুলে দিয়েছে এবং এটিই একমাত্র কারণ যে আমরা এখনও গান তৈরি করতে পারছি।কিন্তু আজ খুব কষ্টের সাথে আমরা আপনাদের নজরে একটি ঘটনা তুলে ধরছি। এমন এক পরিস্থিতির মোকাবেলা করছি আমরা যা আমাদের মতো নতুন সঙ্গীতশিল্পীদের গানের পেছনে লেগে থাকাটাকে আরো কঠিন করে দিচ্ছে।আমরা আমাদের গান – ঘোড়গাড়ির বিতরণের অধিকার দিয়েছিলাম Mushroom Entertainment, Inc. নামক এক বাংলাদেশী-মার্কিন ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম, (যা ME Label নামেও পরিচিত) কে ২০১৮ সালে। ২০২১ সালের মে মাসে, তাদের অবহেলার কারণে, আমরা ME Label এর সাথে আমাদের চুক্তি অবসান করি।ME Label এর সাথে আমাদের চুক্তি শেষ হওয়ার দুই মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে, কিন্তু তারা এখনও YouTube Content ID মাধ্যমে আমাদের গান – ঘোড়গাড়ি থেকে অর্থ উপার্জন করছে। আমরা গত দুই মাসে তাদের কর্মকর্তাদের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন সাড়া পাইনি। অন্যদিকে, তারা ঠিকই আমাদের পরিচিত এক ব্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করছেন।যখন আমরা তাদের সাথে চুক্তিতে ছিলাম, তারা কখনই চুক্তির শর্তাবলী মেনে চলেনি। তারা বলে যে তারা মাসিক প্রতিবেদন দেবে কিন্তু প্রক্রিয়াটি 2-3 মাসেরও বেশি সময় নেবে। যখন তারা অবশেষে ঘোরগাড়ির উপার্জন সম্পর্কে আমাদের একটি প্রতিবেদন দেয়, তখন এটি একটি এক্সেল শীটে দিয়ে থাকে এবং ঘোড়াগাড়ি আসলে কতটা উপার্জন করেছিল ওই সময় তা যাচাই করার কোনো উপায় নেই ।ME Label এ কাজ করা লোকেরা মোটেও প্রফেশনাল না এবং আমরা সৎভাবে তাদের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করিনি। একইভাবে, তারা আমাদের সাথে যা করেছে তা ভালোই করেছে। আমরা তাদের আসল রূপ দেখতে পেয়েছি এবং এখন আমরা আমাদের সমসাময়িক মিউজিসিয়ানদের এই ব্যাপারে সতর্ক করতে পারছি।ME Label এর সাথে কাজ করার বা কাজ করার পরিকল্পনা করা ব্যান্ডগুলিকে আমরা অনুরোধ করি যে আপনারা দরকার হলে সরাসরি সুপরিচিত আন্তর্জাতিক লেবেল ম্যানেজার বা পরিবেশকদের সাথে কাজ করুন। এরককম প্রতারকদের থেকে দূরে থাকুন।যেহেতু আপনি আপনার মূল্যবান সময় ব্যায় করে পুরো পোস্টটা পড়েছেন, আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি এই পোস্টটি আপনাদের পরিচিত মিউজিসিয়ানদের সাথে শেয়ার করবেন এবং সবাইকে সতর্ক করবেন । |
|
রেকর্ড লেভেলের সাথে আর্টিস্ট বা ব্যান্ডের ভবিষ্যৎ কি হবে?

Leave a comment
Leave a comment