পরীক্ষার হলে MCQ এর উত্তর করতে গেলে কনফিউশন তৈরি হয় কেন?

adminsr
2 Min Read
অনেকেই বিষয়টি জানতে চেয়ে আমাকে মেসেজ করেছেন, বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট  করেছেন। যারা অনেক পড়ার পর পরীক্ষার হলে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কনফিউজড হয়ে যান, মূলত তাদের জন্য লেখাটি-
১। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো বারবার না পড়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ নয়, সব পড়ে পরীক্ষার হলে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। (যেমনটি প্রথম প্রথম আমারও হতো)
২। আপনি যে বিষয়টি বা টপিকটি পড়ছেন তা কন্সেপ্ট ক্লিয়ার করে পড়ছেন না।
৩। পড়ার সময় আপনার পূর্ণ মনোযোগ পড়ায় দিতে পারছেন না। (যেমনঃ পড়ছেন আবার ফেইসবুক, মেজেঞ্জারেও চ্যাটিং করছেন।)
৪। পড়ার সময় মনে পড়া মনে রাখার কিছু কার্যকরী কৌশল আছে, যা, আপনি হয়তো জানেন না বা জানলেও ব্যবহার করছেন না।
৫। গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, সাল ও নামগুলো খাতায় বারবার লিখে পড়ছেন না।
৬। কঠিন বিষয়গুলো কম কম করে না পড়ে একসাথে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর পড়া। যেমন- Preposition, Synonym-Antonym, সমার্থক শব্দ, বানান শুদ্ধিকরণ ইত্যাদি।
৭। পরীক্ষার হলে প্রথম দিকে টাইমের প্রতি খেয়াল না করে শেষের দিকে বেশি তাড়াহুড়ো করা এবং বাড়তি মানসিক চাপ নেয়া।

পরামর্শঃ

১৷ আগে অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো দাগিয়ে দাগিয়ে বারবার পড়ুন এবং সাথে বারবার ১৷ আগে অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো দাগিয়ে দাগিয়ে বারবার পড়ুন এবং সাথে বারবার লিখুন।
২। প্রতিদিনের পড়া রাতে ঘুমানোর আগে একবার রিভিশন দিন এবং পুরো সপ্তাহের পড়া সপ্তাহের একদিন বারবার রিভিশন দিন।
৩। কঠিন টপিকগুলো অল্প অল্প করে পড়ুন; তবে বারবার রিভিশন দিন। যেমনঃ Preposition, Synonym-Antonym ইত্যাদি।
৪। পড়ার সময় শব্দ করে পড়তে পারলে মনে থাকে বেশি। যেমন ছোটবেলায় আমরা যে কবিতাগুলো পড়েছিলাম তা এখনো অধিকাংশ মনে আছে।
৫। পড়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ শুধু পড়ায় দিন।
৬। কাছাকাছি বা কনফিউজিং প্রশ্নগুলো পাশাপাশি রেখে পড়ুন।
৭। পরীক্ষার হলে প্রথম দিক থেকেই সঠিকভাবে টাইম ম্যানেজমেন্ট করুন। যেন শেষের দিকে বেশি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল না হয় এবং পরীক্ষার হলে যতটুকু সম্ভব মানসিক চাপ এড়িয়ে স্বাভাবিক মেজাজে পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করুন।
*সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
*সকল সৎ পরিশ্রমীদের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইল।
Gazi Mizanur Rahman
৩৫তম বিসিএস ক্যাডার
Share this Article
Leave a comment