চা কিংবা কফি আমাদের জন্য কতটা উপকারী এ প্রসঙ্গে কথা উঠলে নানাবিধ মন্তব্যের ধারা বয়ে আসে।অনেকের মতে চা–কফি পান শারীরিক ক্ষতির কারণ। কিন্তু মোটেও তা না। আমাদের স্বাস্থ্যের পেছনে চা–কফি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা বিবিধভাবে গ্রহণযোগ্য।
প্রতিদিন এক থেকে তিন কাপ চা কফি খেলে দূরে সরিয়ে রাখা যায় হার্টের অসুখ বা স্ট্রোক।অনেকেরই ধারণা যে এটি কেবল ক্ষতিকর কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞান সে ধারনা পাল্টে ফেলেছে। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে। নিয়মিত যদি এক থেকে তিন চার কাপ কফি খাওয়া যায় তাহলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর আশঙ্কাও অনেকটাই কমে যায়।নিয়মিত গ্রহণকৃত খাবারের অধিকাংশ জ্বালানি আমরা পেতে পারি কফির মধ্যে থেকে।যেসকল সেল আমাদের শরীরের ধমনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে সেটি থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চা–কফি তে রয়েছে।রয়েছে ক্যাফেইন আর পলিফেনোল।যা এই অসুখের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে অতিরিক্ত ব্যায়ামের মতো করেই অতিরিক্ত বেশি মাত্রাধিক যা আবার বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।মূলত এটি একটি মাত্র ভেতর রাখা প্রয়োজন এর পরিমিত একটি মাত্রা বজায় রেখে পান করতে হবে।এছাড়া এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।
এতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের পক্ষেও বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের অভ্যাসই হচ্ছে চা বা কফি দিয়ে দিন শুরু করা এবং দিন শেষ করা।নাহলে যেন দিনটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বিশেষ করে ব্যস্ততাময় জীবনের ক্ষেত্রে মানসিক অবসাদ শারীরিক অবসাদ এবং মুখের স্বাদ এর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের চা এবং কফি পান করে থাকি। যা আমাদেরকে অতিরিক্ত ব্যস্ততার মধ্যে নির্জীবতা দূর করে দেয় অবসাদ দূর করে দেয়।চায়ের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন আর পলিফেনোল। আমাদের কোষ সেল গুলোকে রক্ষা করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।যা এই অসুখের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে। তবে পরিমিত মাত্রা বজায় রাখা আবশ্যক।অতিরিক্ত হলে শরীরের ক্ষতি হয়।এছাড়া এতে থাকা উপাদানগুলো বিভিন্ন শাস-সবজির মাঝেও পাওয়া যায় যা চা কিংবা কফির মাধ্যমে অধিকাংশই পূরণ করা সম্ভব।বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য এসব খাবারে যে ঘাটতি পূরণ হয় না তা পরিমিত চা পান করার মাধ্যমে পূরণ করতে অত্যন্ত ফলদায়ক।
কি রকম চক আমাদের পান করা উচিত?
রং চা,দুধ চা,গ্রিন টি দৈনন্দিন জীবনে আমরা এসব চায়ের সাথে গভীর ভাবে পরিচিত।লেবু চা,আদা চা ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বেশ শৌখিনতার সাথেই আমাদেরও অভ্যাসে মিশে গেছে চা। আর কফি তো বটেই।আর গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।গ্রিন টি তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকলেও লাল চা-ও কিন্তু পিছিয়ে নেই।তবে আধুনিক বিজ্ঞান বলছে চায়ে চিনি না মেশাতে।আর গ্রিন টি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে,জড়তা দূর করে,ত্বক ভালো রাখে। তবে চায়ের গুনাগুন দুধ বিনষ্ট করে।রোজ পাঁচ থেকে ছয় কাপ দুধ চা দুধ ছাড়া চা পান করলে প্রয়োজনীয় ম্যাঙ্গানিজ অর্ধেকের বেশি পূরণ হয়।
দুধ-চায়ের কিছু ক্ষতিকর দিক:
চায়ের মধ্যে থাকা বেশ কিছু উপকারী উপাদান দুধ মেশালে বিনষ্ট হয়ে যায়।চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ে।আমাদের মনের তৃপ্তি মেটাতে এবং মুখের স্বাদের জন্য দুধ চা বেশ পছন্দ করে থাকি।কিন্তু এতে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।হিতে বিপরীত প্রভাব পড়ে যা স্বাস্থ্যের জন্য নেতিবাচক। দুধ চা পানে রক্তচাপ ওঠানামা করে।তাই বিশেষ করে ব্লাড সুগার ও ডায়বেটিস রোগীদের জন্য এটি আবশ্যকীয় ভাবে বর্জনীয়।