স্বাভাবিক ভাবেই আমরা রমযানের সময় প্রতি ইফতারে খেজুর খেতে অভ্যস্থ।অভ্যাসগত কারণে, মুখের স্বাদের তাগিদে, রীতির কারণে এবং বিশেষ করে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য সুন্নত খাবার হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলেও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এর রয়েছে অপরিমেয় গুণাবলি।
খেজুর আমাদের শারীরিক সুস্থতা এবং বিভিন্ন পুষ্টিগত কারণেও অপরিসীম ভূমিকা রাখে।অনেকেই খেজুর কে শুধুমাত্র রমযানের জন্যই নিয়মানুসারে অপরিহার্য খাবার বলে মনে করে থাকে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খেজুর সারা বছরই খাওয়া উচিত।বছরজুড়েই পুষ্টিবিদরা নিয়মিত খেজুর খেতে বলেছেন।আর রমযানে রোজার সময় তো এটির জুড়িই নেই।কেননা,রোযার মরসুমে সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে পানিশূন্যতা, পেটে গ্যাস ইত্যাদি নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।খেজুরে রয়েছে গ্লুকোজ, ভিটামিন, প্রোটিন,ক্যালসিয়াম।
শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করে আবার অন্যদিকে খেজুরে কোলেস্টেরল না থাকায় এটি নির্দিধায় উপকারী এবং বিবিধভাবে উপযোগী। রোযা গ্রীষ্মকালীন সময়ে হলে তখন আবহাওয়া পরিবর্তন কিংবা বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা লেগে শুকনো কাশি,সর্দি-গর্মি, কফ বা শ্লেষ্মাজাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রেও খেজুর কফ দূর করতে সহায়ক। শুকনো কাশি, এজমা ইত্যাদি নির্মূল করে।হৃৎপিণ্ডের জন্য খেজুর উপকারী। তাই চিকিৎসক গণ খেজুর বেশি করে খাবার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।এছাড়া সারাদিনের পরিশ্রমের ফলে ক্লান্তি,
অবসাদ হয়। কায়িক শ্রমের কারণে যে ক্ষয় হয় খেজুর তা পূরণ করে।পানির ঘাটতি পূরণ করে তাই খেজুর খেয়ে ইফতার শুরু করা খুব তাৎপর্যপূর্ণ।খাদ্য হজমে খেজুর সহায়তা করে। গ্লুকজের ঘাটতি অত্যাধিক পূরণ করে।কোলেস্টরল না থাকায় ডায়াবেটিস এর রোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী।
শরীরের ওজন বেশি থাকলে ওজন কমানো, অবসাদ দূর করে কর্মশক্তি বাড়ানোসহ স্নায়ুতন্ত্রেও ব্যাপক উপকার সাধন করে।তাই খেজুর সারা বছর খেতে পারলে অবশ্যই বিশেষ ফলপ্রসূ হবে এবং রমযানের সময় অবশ্যই লক্ষণীয় রাখতে হবে।এবং এ সময় স্বাস্থ্যবিধিমতেও অপরিসীম ভূমিকা পালন করে খেজুর।তাই রমযান মাসে রোজাদার দের ক্ষেত্রে এটি রোজকার খাদ্য গ্রহণের প্রধান তালিকায় অপরিহার্য বলা চলে।
|
|
রমযানে খেজুর খাবেন কেন ?

Leave a comment
Leave a comment