সাহিত্য সংস্কৃতির এক উদীয়মান তরুন লেখক,গায়ক ও অভিনেতা “প্রবর রিপন” এর জন্মদিন আজ।
যার লেখা প্রথম কবিতার বই; মোট ৬৪ টি কবিতা সম্বলিত বইটি ধুপছায়া প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পায় ২০০৮ সালের বই মেলাতে। লেখার সময়কাল ২০০২-২০০৭।
যদি গায়ক হিসেবে তাকে দেখেন, একজন রকস্টার “প্রবর রিপন” যিনি এ প্রজন্মের লাখ লাখ তরুণদের পছন্দের গায়ক,লেখক ও অনেক তরুণদের কাছে তিনি বাস্তব জীবনের আইডল। তার সৃষ্টি বাস্তবিক, মানবিক গান ও কবিতায় মনের মধ্যে এক অন্যরকম ছোঁয়া খুঁজে পায় এই প্রজন্মের তরুণেরা।
প্রবর রিপন একটা বাংলা রক ব্যান্ডে গান করেন। ব্যান্ডের নাম “সোনার বাংলা সার্কাস”। ব্যান্ডের এই নামের পিছনের একটা গল্প আছে।যেটা তিনি একাত্তর টিভির এক রিপোর্টারকে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিল— কথা গুলো অনেকটা এমন যে –
❝সাকার্স সন্ধা বেলায় হয়, মানব সভ্যতার সন্ধ্যাকাল শুরু হয়ে গেছে। এখন মানুষ রাতের দিকে এগোচ্ছে হায়না এক্সপ্রেস এ চরে। আর আমরা এই সন্ধ্যার সার্কাস দিয়ে জানাচ্ছি তোমরা মানুষরা কুড়াল দিয়ে নিজেই নিজের পায়ে আঘাত করছো, তোমরাই ধ্বংস করছো এই পৃথিবীটাকে, তোমাদের লোভের কারনে।❞ এবার একটু কল্পনা করুন মানুষটার চিন্তা ভাবনা কত উঁচু লেভেলের!
হ্যা,এমন চিন্তা চেতনা ভিতরে লালিত করেই;
পরিচিত বন্ধুদের নিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে গঠন করেন ব্যান্ড “সোনার বাংলা সার্কাস”।
তাঁদের এই ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম “হায়না এক্সপ্রেস” শিরোনামে ৯ টা ট্রাক রিলিজের মধ্যে দিয়ে সমগ্র পৃথিবীর মানুষের ব্যক্তি জীবন রহস্যের উত্থানের গল্প বলার চেষ্টা করেছেন।
হাসি, কান্না, দুঃখ ও জীবনের সৌন্দর্য— সব কিছুর ব্যাখ্যা যেন তার গান ও কবিতার মাঝে। যা এক বিশাল যায়গা করে নিয়েছে দেশি শ্রোতাদের কাছে। যদিও তিনি এর আগেও ব্যান্ড “মনোস্বরনী” নামে একটা ব্যান্ডে গান গাইতো।
বর্তমান সময়ের তরুণদের আইডল, একজন গায়ক, লেখক, ও অভিনেতা প্রবার রিপন এর নিজ অভিনীত নাটক “যে জীবন ফড়িং এর” বেশ কয়েক বছর আগের করা হলেও তা ২০১৯,২০ এর দিকে এসে তমুল জনপ্রিয়তা পায় দর্শকদের কাছে। দারুন সব সংলাপের আলোচ্য বিষয় “যে জীবন ফরিং এর” শিরোনামের এই বাংলা নাটকটি।
নাটকের একটি সংলাপ এমন-
❝নিরাপত্তাই যদি শেষ কথা হত, তাহলে মাতৃগর্ভের প্রবল নিরাপত্তার ভেতর ই থেকে যেতাম। এই ধূলোর পৃথিবীতে আর আসতাম না”
তা হলে কেন আসলাম?
সেটা জানার জন্যই কিন্তু বার বার পৃথিবীতে ফিরে আসি….❞!!
ব্যান্ড সঙ্গীতের স্বার্থকতা এখানেই শিল্পীদের সৃষ্টি গান, গল্প, কবিতা, নাটক যা’ই বলেন না কেন আজ না হোক কাল আপনার ভালো লাগবেই!
ঝিনাইদহ শহরের এই চমৎকার মানুষটির জন্মদিনে ভক্ত শ্রোতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন এবং তার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা জানিয়েছেন।
‘সোনার বাংলা সার্কাস’ এর মাধ্যমে তার গান কবিতা পৌঁছে যাক পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।